চারটি প্রদেশের দেশভাগের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন। BD four provinces।
BD four provinces
দেশের পুরনো চারটি বিভাগকে চারটি প্রবেশ করার সুপারিশের কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন,।রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে ব্যবস্থাপনা প্রদেশের হাতে দেওয়ার পক্ষেই এই কমিশন। এতে কী পরিবর্তন আসবে, কেমনই বা হবে এর রূপরেখা?
প্রাদেশিক মর্যাদার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে কোন কোন অঞ্চলকে বিস্তারিত: রিপোর্টে।
গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে সংবিধান নির্বাচন ,পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা না দিলে ওই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের সম্ভাব্য কিছু সুপারিশের কথা উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। এর মধ্যে চারটি প্রবেশ করার বিষয়টিও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য সুপারিশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হল বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে চারটি প্রবেশ করা।। এই চারপ্রদেশ হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা। তবে এ সব প্রদেশের পরিচালনা কাঠামো কেমন হবে, কাজ কি ধরনের হবে সেই ভাবনা এখনও জানা যায়নি। কমিশনের একটি সূত্র দেশের একটি প্রথমসারির জাতীয় দৈনিক এ বলেছে, বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে। কমিশনের সুপারিশ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিষয়টি মূলত সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়। তাই কাঠামোর বিষয়।তাঁদের পক্ষে এখনই বলা সম্ভব নয়। ভয় শিয়া বাটার, ভিটামিন বি সমৃদ্ধ মিলিগ্রাম তিনশ লিলি ও এসপিএফ ও বাংলাদেশের একাধিক প্রবেশ করার আলোচনা নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন রাষ্ট্র মেরামতের এখনই সময় শীর্ষক একটি লেখায় পাঁচটি প্রবেশ করার প্রস্তাব করেন। বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা প্রায় 17,50,00,000।ছোট দেশ হলেও এতো বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারকে নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশকে ন্যূনতম পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করে একটি ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র করা যেতে পারে। পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলে দুটি করে চারটি প্রদেশ এবং বৃহত্তর ঢাকা নিয়ে আরেকটি প্রবেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি।
মেট্রোপলিটন ঢাকা কেন্দ্রশাসিত থাকবে কেন্দ্রের হাতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র সীমান্ত ও সমুদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক সাহায্য সহযোগিতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বাকি বিষয়গুলোতে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে থাকলেও প্রদেশগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকবে।তবে প্রদেশ গঠনের এই চিন্তাকে নানা কারণে বাংলাদেশের জন্য সঠিক বলে মনে করেন না স্থানীয় প্রশাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল আহমেদ এখন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসাবে রয়েছেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে ছোট একটি দেশ মানুষ হয়তো বেশি। তবে ভাষাগত ভৌগোলিক অবস্থান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনও বিভাজন নেই। তাই তিনি মনে করেন, বর্তমানে যেসব বিভাগ আছে এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করলে ভাল মতো কাজ করার ক্ষমতা দিলে প্রদেশের ঝামেলায় না গেলেও চলবে।
প্রদেশ সমস্যা সমাধানের চেয়ে নতুন করে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করবে বলেও মনে করছেন তিনি।বর্তমানে সারা দেশে আট টি প্রশাসনিক পদ রয়েছে। এর বাইরে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার আলোচনা রয়েছে। এর আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও তাদের সম্ভাব্য সুপারিশে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার কথা বলেছে। 15 জানুয়ারি সংবিধান সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ এসেছে তার মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ করে দেশের সব বিভাগে হাই কোর্ট বিভাগের সমমর্যাদা সম্পন্ন।হাই কোর্টের স্থায়ী আসন চালুর ব্যাপারেও সুপারিশ করেছে।কিন্তু যাপন ডেস্ক রিপোর্ট এর নিউস।